পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগে লালমনিরহাট পৌরসভার ব্যস্ততম নর্থবেঙ্গল রোড বাজাজ শো-রুমের সামন থেকে আলোরুপা মোড় পর্যন্ত শুরু হয়েছে উন্নয়ন কাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি। এমনিতেই লালমনিরহাট জেলা শহরে যানজট নিত্যদিনের। এর মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগে হঠাৎ রাস্তার পাশের ড্রেন খোঁড়াখুঁড়িতে যানজটের ভয়াবহতায় নাভিশ্বাস উঠছে শহরবাসীর। লালমনিরহাট জেলা শহরটি মূলত পূর্ব-পশ্চিম লম্বালম্বি ৩টি রাস্তাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে।
এর মধ্যে লালমনিরহাট শহরের পূর্ব দিকে গোশালা রোড, মাঝখানে বি. ডি. আর রোড ও দক্ষিণে স্টেশন রোড। এই তিনটি সড়ক ব্যবহার করে শহরের প্রধান প্রধান সরকারি-বেসরকারি, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট, বিপণি বিতান ও হাট-বাজার যেতে হয়। তবে সড়ক তিনটির প্রশস্ততা মাত্র ২টি গাড়ি চলাচলের মতো। এছাড়াও রয়েছে বি. ডি. আর রেল গেট ও মোগলহাট রেল গেট। ফলে পিক আওয়ারে যানজট নিত্যদিনের।
বর্তমানে লালমনিরহাট শহরের মাঝখানে নর্থবেঙ্গল রোড বাজাজ শো-রুমের সামন থেকে আলোরুপা মোড় পর্যন্ত ড্রেনের কাজ চলমান। লালমনিরহাট পৌরসভার আওতায় এ ড্রেন নির্মাণ কাজটি চলমান রয়েছে।
এ উন্নয়ন কাজেরই অংশ হিসেবে রাস্তার পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে ড্রেন। বাজাজ শো-রুমের সামন থেকে মুন স্টার রেস্টুরেন্টে ও পার্টি সেন্টারের সামনে ড্রেনের নির্মাণের জন্য ৬দিন ধরে শুরু হয়েছে খোঁড়াখুঁড়ি। ফলে পুরো শহরে যানজট ছড়িয়ে পড়েছে।
পাশাপাশি এ রোডের শতাধিক দোকান ব্যবসায়ীদের কেনাবেচায় ভাটা পড়েছে। পথচারীদের দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। এতে করে যাত্রীদের নিয়ে রিকশা, অটোবাইক চালকরা পড়েছেন বিপাকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের মধ্যে বছরের অর্ধেক বেচাকেনা হয়। কিন্তু দোকানের সামনে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে কাস্টমার আসছে না।
অটোবাইকচালক জানান, অন্যান্য সময়ের চেয়ে এ ঈদে কামাই বেশ ভালো হয়। কিন্তু রাস্তার খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সেটা আর সম্ভব হবে না। তাঁদের সবার দাবি, দ্রুত যেন এ নির্মাণ কাজটি শেষ করা হয়।